বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে। অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ ওই এলাকার আবু দাউদের ছেলে। এ ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হারুন অর রশিদ আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতেন। তবে চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিএনপির রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইবাদুল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী পশু চিকিৎসক ইবাদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তার দোকানে এক যুবক এসে হারুন অর রশিদের নামে তিনশত পঞ্চাশ টাকার ভেটেরিনারি ওষুধ বাকিতে চান। হারুন অর রশিদের কাছে পূর্বে প্রায় ছয় হাজার টাকা বাকি থাকায় তিনি প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। পরে অনুরোধে তিনশত পঞ্চাশ টাকার ওষুধ দেন।
এর কিছুক্ষণ পর হারুন অর রশিদ দোকানে এসে ইবাদুল ইসলামের কাছে দেরিতে ওষুধ দেওয়ার কারণ জানতে চান। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হারুন অর রশিদ দোকানে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং ইবাদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আশিকুর রহমানকে মারধর করেন।
এসময় পাশের দোকানদার জাকির হোসেন বলেন, “আমি দেখেছি ওষুধ বেচাকেনা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। হঠাৎ করেই হারুন অর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ইবাদুল আর আশিকুরকে মারধর শুরু করে।”
তবে অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ দাবি করেছেন, “ইবাদুল ও আশিক আমার বন্ধু। ওখানে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এ নিয়ে কিছু লেখার দরকার নেই।” তিনি সন্ধ্যায় প্রতিবেদকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, “এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...