বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যেখানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক জি এম মুজিবর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিচালক জয়দেব চন্দ্র বণিক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চীফ অপারেটিং অফিসার আবেদুর রহমান সিকদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আহসান এইচ মনসুরের ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। বার্তায় তিনি বলেন, “অনলাইন বা মোবাইল লেনদেন এখনও দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে যায়নি। একজন বিকাশ ব্যবহার করলেও দোকান থেকে ক্যাশ টাকা তুলছেন, আবার বিকাশে ব্যবহারের জন্য সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ইন করছেন। তাই ক্যাশ টাকা ব্যবহারকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে হবে। আমরা চাই, মানুষ সরাসরি বিকাশ বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেন করবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “টাকা ছাপানো, পরিবহন, বন্টন ও ব্যাংকে ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। ডিজিটাল লেনদেনে এই খরচ কমবে এবং মানুষকে ছোট কাজের জন্য ব্যাংকে আসতে হবে না। ডিজিটাল ও স্মার্ট লেনদেনের সুযোগ গ্রহণ করতে সবাইকে এই উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।”
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জুয়েল মজুমদার ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ বিষয়ে ভিডিও উপস্থাপনা করেন। এতে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ক্যাশ ব্যবহারের অসুবিধা, ক্যাশলেস বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা, ডিজিটাল ব্যাংকিং ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন ক্ষেত্র—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও ইউটিলিটি বিল সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের কৌশল, সীমাবদ্ধতা, প্রতারণা এবং নীতিগত উদ্যোগ নিয়েও শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক জি এম মুজিবর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের কাগজের মুদ্রা অনেক নোংরা এবং রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে। মুদ্রা তৈরির খরচও বেশি। তাই বাকৃবি ক্যাম্পাসকে ক্যাশলেস ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। তবে অনলাইন লেনদেনে প্রতারণা রোধে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাশলেস সিস্টেম সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেন এবং ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা উত্তর দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা বলেন, “সারাদেশে বাংলা কিউআর কোড ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষকেও ডিজিটাল লেনদেনে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি ‘কাস্টমার ইজ দ্যা কি’। তাই ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কম মূল্যে সেবা প্রদানে কাজ করছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...