সংগৃহীত ছবি
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সামান্য ওঠানামা দেখা গেলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেশের গ্রস রিজার্ভ এখন ৩১ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১.১০ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৬,৩৯৫ দশমিক ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগের দিন, অর্থাৎ ৯ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১.১৪ বিলিয়ন ডলার, যা থেকে দেখা যায় এক দিনের ব্যবধানে অল্প পরিমাণ হ্রাস ঘটেছে। বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে সে সময় রিজার্ভ ছিল ২৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, নিট (Net) রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ (Balance of Payments Manual 6) পদ্ধতি অনুসারে। এই পদ্ধতিতে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক দায় বাদ দিলে যে পরিমাণ থাকে, সেটিকেই প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ হিসেবে ধরা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সময়সূচি—এসব উপাদানের ওপর রিজার্ভের ওঠানামা নির্ভর করে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে, তবে আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে রিজার্ভে কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক লেনদেন সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ সূচক। রিজার্ভ যত বেশি, আমদানি ব্যয় মেটানো ও মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা রক্ষা তত সহজ হয়। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রিজার্ভের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও বৈদেশিক আয়ের উৎস বহুমুখীকরণ জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, তারা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করছে এবং প্রবাসী আয় ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির মাধ্যমে রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...