বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তালা লাগানোর ঘটনা ঘটে চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট এবং বিজ্ঞান ভবন-এ। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কর্মসূচি প্রচার করে লেখেন, “১৩ তারিখ সারাদিন, লকডাউন সফল করুন। লকডাউন বিএসএল—চারুকলা অনুষদ, আইইআর, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেইট, বিজ্ঞান ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।”
এছাড়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ ফেসবুকে শেয়ার করেন একই ছবি ও বার্তা এবং বলেন, “দেখে শান্তি পেলাম! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লকডাউন, বিএসল। ১৩ তারিখ সারাদিন, লকডাউন সফল করুন। এই দেশের সকল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তির অবস্থান নিতে হবে। লকডাউন বিএসল, তালা লাগানো হয়েছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে আমরা তালাগুলো খুলে ফেলেছি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তবে অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদকে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পর্যবেক্ষণ চালানো হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...