কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বচওয়ে।
বিজ্ঞাপন
কমনওয়েলথ এক বিবৃতিতে জানায়, মহাসচিব শার্লি বচওয়ে তার ঢাকায় অবস্থানকালে আন্তঃসরকারি, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করতে চান। সফরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সফরকালের আলোচনাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, জবাবদিহি এবং বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির জন্য কমনওয়েলথের ভূমিকা কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়— সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি কমনওয়েলথের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন, যার তিনটি মূল স্তম্ভের অন্যতম হলো ‘গণতন্ত্র’। বাংলাদেশ কোন ধরনের সহায়তা পেলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারে, তাও জানার চেষ্টা করবেন তিনি।
সফরের আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে মহাসচিব বচওয়ে বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ কমনওয়েলথে যোগ দিয়েছিল এবং দেশটি সংগঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে বোঝার জন্য বিস্তৃত অংশীদারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলাই তার অন্যতম লক্ষ্য।
বচওয়ে বলেন, “কমনওয়েলথ ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব আগামী নির্বাচনের আগে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা পাশে আছি, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সম্মানিত হবে।”
তিনি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে বলেন, দেশটি যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন গণতান্ত্রিক যাত্রায় কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
কমনওয়েলথ আরও জানায়, মহাসচিবের এই সফর গত মাসে বাংলাদেশে আগত প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দলের মিশনেরই ধারাবাহিকতা। দলটি স্থানীয় রাজনৈতিক ও নাগরিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করে ২০২৬ সালের নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...