Logo Logo

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশের গেজেট জারি


Splash Image

প্রতীকী ছবি।

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন ও প্রতিস্থাপনকে সহজ, নিরাপদ ও আইনীভাবে নিয়ন্ত্রিত করার উদ্দেশ্যে সরকার ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ গেজেট জারি করেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) জারি হওয়া এই অধ্যাদেশে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং আইনানুগ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিধান রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ববর্তী ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯’ অপ্রতুল হওয়ায় একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন এই অধ্যাদেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপন সহজীকরণ, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার রোধ এবং অবৈধ পাচার প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।

এ সম্পর্কিত প্রাথমিক অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৩৪তম বৈঠকে ১৭ জুলাই চূড়ান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “অনেকের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেকে চোখে দেখতে পান না। কর্ণিয়া সংযোজন করলে অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশে এই বিষয়ের আইন অনেক দিন ধরে আপডেট হয়নি। নতুন অধ্যাদেশের ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপন অনেক সহজ হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আগে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য শুধুমাত্র খুব কাছের আত্মীয়—ভাই, বোন, বাবা-মা—দেননি। এখন আমরা পরিধি সম্প্রসারণ করেছি। ভাতিজা, ভাগিনা ইত্যাদিরও অঙ্গ দান করার সুযোগ থাকবে। এই পরিবর্তনের ফলে দেশের মানুষকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বিদেশে যেতে হবে না। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোও এ ধরনের সার্ভিস দিতে পারবে। আমরা মনে করি, এটি বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী আইন।”

নতুন এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশজুড়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সুরক্ষিত করা হবে এবং অবৈধ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...