বিজ্ঞাপন
নবপ্রকাশিত এ গ্রন্থে ইসলামি আইনের উৎসসমূহের সামগ্রিক ও বিশদ আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। কুরআন ও সুন্নাহ কীভাবে বিধান বর্ণনা করে, তার পদ্ধতিগত ব্যাখ্যার পাশাপাশি ইজমা, কিয়াস, পূর্ববর্তী উম্মতদের শরিয়ত, মাসলাহা মুরসালাহ, সাদ্দুয যারায়ি, উরফ বা প্রথা, মাযহাবুস সাহাবী, ইসতিহসান ও ইসতিসহাবসহ বিভিন্ন দলিলের তাত্ত্বিক ভিত্তি, প্রয়োগ ও গুরুত্ব সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। কোন উৎস মৌলিক ও স্বতন্ত্র, কোনটি অনুগামী ও নির্ভরশীল এবং কোনটি সম্পূরক কিংবা ইজতিহাদভিত্তিক—সে বিষয়গুলোও সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
গ্রন্থটিতে আরও আলোচনার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইজতিহাদ, তাকলীদ, তালফীক, উসূলুল ফিকহ শাস্ত্রের পরিচিতি, এর বিষয়বস্তু, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং উৎপত্তি ও বিকাশের ইতিহাস। প্রতিটি বিষয় স্বীকৃত গবেষণা-পদ্ধতির আলোকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং মৌলিক ও আধুনিক নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাবলির সহায়তায় পাঠযোগ্য ও বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
বইটি প্রকাশ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন আযহারী বলেন, “এটি আমার চতুর্থ বই। যা উসূলুল ফিকহ সম্পর্কে, অর্থাৎ ইসলামী আইনের মূলনীতি বা ভিত্তি কিংবা ইসলামী আইনের উৎস নিয়ে রচিত। একজন মুসলিম হিসেবে জীবন পরিচালনার জন্য যে বিধি-বিধান জানা প্রয়োজন, তার ভিত্তিই হলো ফিকহ শাস্ত্র। অথচ ইসলামী আইনের উৎস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ছাড়া এসব বিধি-বিধান অনুধাবন করা সম্ভব নয়। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলায় এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গ্রন্থের অভাব রয়েছে। আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে এটি একটি মৌলিক কোর্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এবং মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিভাগে নিয়মিতভাবে পাঠ্য। সেই প্রয়োজনীয়তা ও ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই বইটি রচনা করেছি। আশা করি, এটি জ্ঞানের প্রসার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন আযহারীর আরও তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো— ‘শরয়ী বিধান: মূলনীতি ও প্রয়োগ’, ‘ইন্টারনেটে বিবাহ এবং বিচ্ছেদ’ এবং ‘হালাল খাদ্যের মূলনীতি’। তার এসব গ্রন্থ পাঠকসমাজে সমাদৃত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...