Logo Logo

বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাথে নবগঠিত ছাত্রদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ


Splash Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বাকৃবিসাস)-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে সম্প্রতি ঘোষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বাকৃবি শাখার পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।


বিজ্ঞাপন


রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়েবসহ সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী। অন্যদিকে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান রনি, সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উল্লাহসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবস্থা, শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি, বাকৃবি কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (বাকসু) নির্বাচনের প্রস্তুতি, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ, ডাইনিং সেবার মানোন্নয়ন, আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং হলের সিট সংকট নিরসনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতারা সাংবাদিক সমিতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন একটি কমিটি গঠন করেছি যাতে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে পারেন। যারা এসেছেন তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন—এটাই আমাদের প্রধান শক্তি।”

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আবাসন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “নারীদের জন্য শতভাগ নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। আবাসন, নিরাপদ যাতায়াত এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবাসহ যেসব জায়গায় ঘাটতি আছে সেগুলোতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত মিছিল-মিটিং ও বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদলের রাজনীতি সর্বদাই শিক্ষার্থীবান্ধব। অতীতে যারা হামলা-মামলায় ভুগেছেন বা অবমূল্যায়িত হয়েছেন, তাদের ন্যায্য মূল্যায়নের চেষ্টা করেছি। বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়না—তারা ভবিষ্যতেও স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

শিক্ষার্থীদের আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি তুলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত সেবা, আধুনিক মেডিকেল সুবিধা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিক্ষার্থীরা যেন শহরে না গিয়ে ক্যাম্পাসেই মানসম্মত চিকিৎসা পায়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়েব বলেন, “শিক্ষাঙ্গনে সৃজনশীল, যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্ব গঠনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থাকা স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার জরুরি। এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করবে।”

তিনি আরও বলেন, “স্টাইপেন্ড বহুদিন ধরে বৃদ্ধি হয়নি। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ কমাতে স্টাইপেন্ড বাড়ানো প্রয়োজন।”

অবশেষে ছাত্রদল নেতারা বলেন, একটি স্বচ্ছ, নিরাপদ, অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা তাঁদের মূল লক্ষ্য। তাদের বিশ্বাস, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আরও আধুনিক ও শিক্ষার্থী-বান্ধব উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রসর হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...