বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহসীনা আহসান।
নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ, সঠিক, হালনাগাদ ও হলভিত্তিক ভোটার তালিকা সরবরাহ না করায় তফসিল অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কোন শিক্ষার্থী কোন হলে অবস্থান করছে, কার ভর্তি বা ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে—এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দপ্তর থেকেই পাওয়া উচিত। কিন্তু রেজিস্ট্রার অফিস যে তালিকা দিয়েছে, তাতে একাধিক ভুল, অসঙ্গতি ও অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেছে বলে কমিশন জানায়।
কমিশনের মতে, ত্রুটিপূর্ণ তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং প্রার্থীদের বৈধতা নিয়ে জটিলতা তৈরি করবে। এ পরিস্থিতিতে সব ভুল ও অসঙ্গতি দূর না হওয়া পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণসহ তফসিলের অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
অধ্যাপক মোহসীনা আহসান বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে কমিশনকে বিব্রত করার প্রচেষ্টা ছিল কি না—তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে হবে।”
আরেক কমিশনার মো. মাসুদ রানা জানান, রেজিস্ট্রার অফিসকে জরুরি ভিত্তিতে বাদ পড়া নাম, দ্বৈততা ও অন্যান্য অসামঞ্জস্য সংশোধন করে যাচাইকৃত ভোটার তালিকা দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন বিলম্ব ছাড়াই নির্বাচন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী ঘটনাটিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে বলেন, “রেজিস্ট্রার দপ্তর ভুল তালিকা দিতে পারে না। তাদের আজকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। তবে নির্বাচন কমিশন চাইলে অসংগতিগুলো আলোচনা করেই সমাধান করতে পারত। কমিশনকে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে অনুরোধ করছি।”
তফসিল অনুযায়ী, ব্রাকসুর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ২৯ ডিসেম্বর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...