Logo Logo

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন


Splash Image

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চলমান পরিস্থিতি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আইন বিভাগ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ ও বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বে অবহেলা, আইন বিভাগের যৌক্তিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে কুচক্রমহলের তৎপরতা, তদন্ত সাপেক্ষে যৌন হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইলের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন। এছাড়া র‍্যাগিং, যৌন নিপিড়ন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যৌন নিপিড়ন বিরোধী সেল ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাওহীদ আহমদ সালেহীন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দায়িত্বশীল শিক্ষক, কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বে অবহেলা। দায়িত্বশীলদের পেশাদারিত্বে অবহেলার ফলেই ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং, ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কাজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। যেসব যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে সকল বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের শাস্তি প্রদান করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রতিষ্ঠানের বাইরে দুজন থাকবে যারা লিঙ্গ, মানবাধিক নিয়ে কাজ করবে। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের অফিস কোথায়, কমিটির প্রধান ছাড়া বাকী সদস্যরা কারা এখনো জানায়নি। চলমান প্রতিকূলতা কাটাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান বিজয় বলেন, 'লিমন স্যার শুধু ধর্ষণের সহায়তাকারীই নয় বিভাগের একাধিক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছে। ক্লাসে পড়ানোর পরিবর্তে অধিকাংশ সময়ই শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন এছাড়া তিনি স্বজন প্রীতি করেন।ক্ষমতাসীনদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে যেতেন এবং দূর্বলতা জেনে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করতেন। তার শিক্ষক হওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। পা এর সমস্যার জন্য দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করতে পারে না। আইন বিভগের শিক্ষার্থীরা উনাকে চায় না। তাকে পেশাদারিত্বের পদ থেকে অব্যাহতির দাবি জানাই।'

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, 'লিমন হোসেন শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। ধর্ষণকারীকে রক্ষা করা, যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার বিষয়ের পরীক্ষার খাতা অন্য শিক্ষার্থী দিয়ে দেখাতো। আমরা এমন অযোগ্য শিক্ষক চাইনা। শিক্ষার্থীরা সত্য কথা বললে তাদের মাইর খেতে হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? এত অভিযোগ ছাড়াও ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে তাও কেনো তাকে বিভাগে রাখা হয়েছে। আমার মনে হয় প্রশাসনও তার কাছে জিম্মি তাই সময়ক্ষেপণ করে তাকে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে। তবে আমরাও বলছি আমাদের দাবি অব্যাহত থাকবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আইন বিভাগ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...