Logo Logo

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল : নূরুল কবীর


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় দুই গণমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সম্প্রতি সংঘটিত হামলাকে ‘মধ্যযুগীয় কায়দার বর্বরতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের হামলা শুধু সংবাদপত্রের ওপর নয়, বরং পুরো সমাজ ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর এক ভয়াবহ আঘাত।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্স’-এর প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল কবীর তাঁর বক্তব্যে হামলার ভয়াবহতা বর্ণনা করে বলেন, “হামলাকারীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় সাংবাদিকদের পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। যখন অফিসের ভেতরে সবাই পেশাগত কাজে ব্যস্ত, তখন চারপাশ থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ফায়ার সার্ভিস যেন পৌঁছাতে না পারে, সেই পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটি মতভিন্নতার কারণে মানুষকে পুড়িয়ে মারার এক নৃশংস পরিকল্পনা।” তিনি আরও যোগ করেন, কোনো সমাজ যদি এমন অন্যায় সহ্য করে নেয়, তবে সেই সমাজের উন্নতির সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।

সভায় উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা যে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, বর্তমান পরিস্থিতি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আজ শুধু দুটি পত্রিকার ওপর হামলা হয়নি, হামলা হয়েছে মানুষের স্বাধীনভাবে চিন্তা করা এবং কথা বলার অধিকারের ওপর।” জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিবাদ সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করেন। বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই, কিন্তু বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের ওপর এমন আক্রমণ সেই অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে দেশের সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে এক কাতারে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবাদ সভাটি সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এতে আরও বক্তব্য দেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...