Logo Logo

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড


Splash Image

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাস এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন— বিচারপতি মোহিতুল হক চৌধুরী এবং বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ। রায় অনুযায়ী, অভিযুক্তরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বা যেদিন গ্রেপ্তার হবেন, সেদিন থেকে এই সাজা কার্যকর হবে।

এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মামলায় শেখ হাসিনাকে দণ্ডিত করল আদালত। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এটি প্রথম কোনো সাজাপ্রাপ্ত রায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত ১৯ জুন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলায় অপর আসামি হিসেবে ছিলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলম (৪০)।

আদালতের নথি অনুযায়ী, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’— এমন একটি অডিও বক্তব্যের সূত্র ধরে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। অডিওতে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বর উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়া হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

গত ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানিতে আদালত আসামিদের ২৫ মে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে কেউই হাজির হননি এবং আইনজীবীর মাধ্যমেও কোনো ব্যাখ্যা জমা দেননি।

পরবর্তীতে, ৩ জুনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য দুজনের নামে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত। বিজ্ঞপ্তি যথানিয়মে প্রকাশিত হলেও, আসামিরা আদালতে হাজির হননি।

শুনানিতে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন আমির হোসেন। মামলাটির স্বচ্ছতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে ‘অ্যামিকাস কিউরি’ (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...