ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৫ জুলাই) “জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে পারে না। এদের জায়গা কারাগারে, জনপরিসরে নয়।"
অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত কারও বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থাকলে তারাও আইনের আওতায় আসবে। তাঁর ভাষায়, “রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হতে পারে।"
সম্প্রতি আলোচিত ‘মব জাস্টিস’ ইস্যু নিয়েও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, "এটা বিচার বিভাগের প্রতি অনাস্থা নয়, বরং গত ১৭ বছরের ক্ষোভ থেকে উৎসারিত। তবে এই ক্রোধ কোনোভাবেই সমীচীন নয়। ন্যায়বিচারের পথ পরিহার করে যারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, তারা আসলে রাষ্ট্রের আইনব্যবস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছেন না।"
আসাদুজ্জামান বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদরা কোনো রাজনৈতিক দলের লোক ছিলেন না। তারা নাগরিক প্রতিনিধি হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছিলেন। আবু সাইদসহ শহীদরা ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় স্বার্থে নয়, বরং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবন দিয়েছেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল সুশাসনের জন্য সংগ্রাম। আর আজকের দিনে আমাদের দায়িত্ব—সেই চেতনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।”
প্রতিবাদ ও সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই জুলাই বিপ্লবের প্রকৃত উদ্দেশ্য। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...