বিজ্ঞাপন
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধের জন্যই এই নৌবহর মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু মাদুরোর বক্তব্য, ওয়াশিংটন মাদকবিরোধী অভিযানকে অজুহাত বানিয়ে তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কারাকাসে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো বলেন, “সামরিক হুমকি দেখিয়ে তারা সরকার পরিবর্তন চাইছে। ভেনেজুয়েলা গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখোমুখি হয়েছে। আটটি যুদ্ধজাহাজ, এক হাজার ২০০ মিসাইল এবং সাবমেরিন দিয়ে দেশটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উপকূলীয় অঞ্চল ও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে প্রেসিডেন্ট মাদুরো মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে মাদকবিরোধী সামরিক অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন।
বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি এজিস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার—ইউএসএস গ্র্যাভলি ও ইউএসএস জেসন ডানহাম—ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থান করছে। এছাড়া ইউএসএস স্যাম্পসন ডেস্ট্রয়ার এবং ইউএসএস লেক এরি ক্রুজারও ল্যাটিন আমেরিকার উপকূলে মোতায়েন আছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আসন্ন দিনগুলোতে আরও যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন বাড়ানো হতে পারে। চার হাজার নাবিক ও মার্কিন মেরিন নিয়ে নতুন যুদ্ধজাহাজও ওই এলাকায় যুক্ত হতে পারে। তবে ভেনেজুয়েলার ভেতরে সরাসরি সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়নি ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে মাদুরোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠী ও মাদক চক্রের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিল। যদিও এ পর্যন্ত সেসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ প্রকাশ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। গত আগস্টে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে, মাদক পাচারে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নিকোলাস মাদুরোকে গ্রেপ্তার বা ধরিয়ে দিলে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...