বিজ্ঞাপন
তার পিতা আবু রফিক খান ছিলেন একজন সমাজহিতৈষী ও পরোপকারী মানুষ। তিনি দুইবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে জনগণের আস্থা অর্জন করেছিলেন। রফিক খানের নেতৃত্ব ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তারেক খানের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
তারেক খান নিজে একজন সৎ, পরিশ্রমী এবং মানবিক ব্যক্তি, যিনি মানুষের কল্যাণে নিঃশর্তভাবে কাজ করেন। তিনি প্রচার-বিমুখ হলেও তার কর্মকাণ্ড যে কোনো মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। সমাজে তার কর্মকাণ্ডে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয় যে, এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন অন্যের উপকারে আত্মনিয়োগের জন্য। দেশে অবস্থানকালে তারেক খান নিজ সামর্থ্যের মধ্যে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজ করে গেছেন, যা তাঁর চরিত্রের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
তারেক খানের প্রতিষ্ঠিত Green Horizon Private Limited, নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ৩০০ একর পোলট্রি, ডেয়ারি এবং ভেজিটেবল ফার্ম পরিচালনা করছে। এই প্রতিষ্ঠান বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে, যা প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য গর্বের কারণ।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তারেক খান পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি নাছিরাবাদ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি কামরুল ইসলাম ও জিএস ওয়ালিদের সমন্বয়ে কলেজ কমিটির সভাপতি হিসেবে ছাত্রদল গঠন এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ৯০-এর দশকে এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আমানউল্লাহ আমান , খায়রুল কবির খোকন, নাজিমুদ্দিন আলমের সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারনে এলাকার উন্নয়নে তার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
বিশেষভাবে ১৯৯১ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত ফজলুল হক এবং ২০০১ সালের নির্বাচিত সাংসদ মতিউর রহমানের প্রভাবে তিনি ময়মনসিংহ শহরের ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ড থেকে মাসকান্দা পর্যন্ত সৌন্দর্য বর্ধন ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেন।
তারেক খানের বোন ময়মনসিংহ মহিলা কলেজের ৮৮/৮৯ জি এস নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার রাজনৈতিক আদর্শের অন্যতম পুরোধা নকলা নালিতাবাড়ী আসনের এম পি ও মন্ত্রী মরহুম জাবেদ আলী চৌধুরীর স্নেহের কারণে বহু মানুষের ছোট্ট বড় উপকারের কথা অনস্বীকার্য। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী অবস্থায় তিনি জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, বিশেষ করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে।
তারেক খানের সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং ধার্মিকতা তাঁকে শুধু প্রবাসী সমাজেই নয়, মাতৃভূমির মানুষের কাছে অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার প্রবাসী ও স্থানীয়রা তারেক খানের কাছে কৃতজ্ঞ।
তারেক খান প্রমাণ করেছেন যে, সত্যিকারের সমাজসেবার জন্য প্রচার নয়, ন্যায় ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই সর্বোচ্চ মূল্যবান।
প্রতিবেদক- আমেরিকা থেকে রেজওয়ান আহমেদ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...