অযু ছাড়া ইবাদত সম্পূর্ণ নয়— জানুন অযুর সঠিক নিয়ম
বিজ্ঞাপন
ইসলামে পবিত্রতা অর্জনের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো অযু। একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনে ইবাদতের সাথে অযুর সম্পর্ক গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ অধিকাংশ ইবাদত অযু ছাড়া আদায় করা যায় না। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের সর্বদা পাক–পবিত্র থাকার চেষ্টা করা জরুরি।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সবসময় অযু অবস্থায় থাকলে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এতে আল্লাহভীতি জাগ্রত থাকে, মন–প্রাণ সতর্ক হয় এবং ইমান আরও দৃঢ় হয়। ধর্মীয় গ্রন্থে বলা হয়েছে— যে ব্যক্তি অযুর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। মৃত্যুর মুহূর্তেও শয়তান তাকে ধোঁকা দিতে পারে না।
অযুর সঠিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। অযু শুরুর আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা উচিত। এরপর দুই হাত কবজি পর্যন্ত ভালোভাবে ধোয়া, আঙুল খিলাল করা এবং মিসওয়াক করা। তিনবার কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া অযুর অপরিহার্য অংশ। তারপর কপাল থেকে থুতনি পর্যন্ত এবং কানের লতি পর্যন্ত মুখ ভালোভাবে ধোয়া দরকার।
ডান হাত থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত তিনবার ধোয়া, মাথায় মাসাহ করা এবং কানের ভেতর ও বাইরের অংশে মাসাহ করা অযুর নিয়মের অন্তর্ভুক্ত। সবশেষে ডান পা থেকে শুরু করে টাখনো পর্যন্ত তিনবার ধোয়ার মাধ্যমে অযু সম্পূর্ণ হয়।
এসব নিয়ম সঠিকভাবে পালন করলে একজন মুসলমান পূর্ণ অযুর বরকত ও পবিত্রতার মর্যাদা লাভ করে। অযু শুধু ইবাদতের প্রস্তুতি নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...