ছবি- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
মহান আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতির হিদায়াতের জন্য পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। এই মহাগ্রন্থের মাধ্যমে মানুষ সত্য, ন্যায়বিচার ও আলোর পথে চলার নির্দেশনা পেয়েছে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন—
“এ সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি পরহেযগারদের জন্য পথপ্রদর্শক।” (সূরা বাকারা: ২)
আরও এক আয়াতে আল্লাহ বলেন—“রমজান মাস হলো সেই মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। এটি মানবজাতির জন্য হেদায়েত, স্পষ্ট দিকনির্দেশনা এবং সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী।” (সূরা বাকারা: ১৮৫)
তিনি আরও ঘোষণা করেন—“নিশ্চয় আমিই এ কোরআন নাজিল করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক।” (সূরা হিজর: ৯)
সাহাবি হযরত আবু জর গিফারি (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন—“তুমি তাকওয়া অবলম্বন করো, কারণ তাকওয়া সব নেক আমলের মূল। কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস করো, কারণ এটি দুনিয়াতে নূর এবং আখেরাতে অমূল্য ধনভাণ্ডার।” (ইবনে হিব্বান)
অতএব, একজন মুমিনের জীবনে তাকওয়া ও কোরআনের সঙ্গে সম্পর্কই হলো ঈমানের ভিত্তি। যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে, সে পাপ থেকে বিরত থাকে এবং সত্যপথে অটল থাকে।
কিন্তু যারা কোরআনকে অবমাননা করে, বিদ্বেষ পোষণ করে বা উপহাস করে, তারা ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে মুরতাদ হিসেবে গণ্য হয়। এমন অপরাধের জন্য শরীয়তে কঠিন শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন—
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, তাদের শাস্তি হলো—হত্যা, শূলীতে চড়ানো, হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা অথবা দেশ থেকে নির্বাসিত করা। এ হলো তাদের জন্য দুনিয়ার লাঞ্ছনা, আর আখেরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা মায়িদাহ: ৩৩)
আল্লাহ আরও বলেন—
“যে ব্যক্তি নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়ায় এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। তারা জাহান্নামবাসী হবে, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” (সূরা বাকারা: ২১৭)
পবিত্র কোরআন আল্লাহর কালাম—মানবতার জন্য হিদায়াতের সর্বোত্তম পথনির্দেশ। এটি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা মানে সরাসরি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করা। এমন জঘন্য কাজের শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে ভয়াবহ। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কোরআনকে ভালোবাসা, সম্মান করা, নিয়মিত তেলাওয়াত করা এবং এর শিক্ষার আলোয় জীবন গঠন করা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...