Logo Logo

প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার ড. জাকির নায়েক


Splash Image

ইসলামিক স্কলার ড. জাকির নায়েক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের গবেষক ড. জাকির নায়েক প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে তার সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে, যা নিয়ে ইতোমধ্যে তার বাংলাদেশি অগণিত ভক্ত ও অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ইসলামিক স্কলার স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘পিস টিভি’র মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত এই বক্তার বাংলাদেশে আগমন নিয়ে বহু বছর ধরেই আলোচনা চলছিল, তবে এবারই তা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। তার এই সফর আয়োজনের দায়িত্বে থাকা 'স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট'-এর স্বত্বাধিকারী আলী রাজ দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড. জাকির নায়েকের সফরের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। আলী রাজ জানান, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ২৮ অথবা ২৯ নভেম্বর ঢাকায় ড. জাকির নায়েকের প্রথম প্রোগ্রামটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। তবে শুধু ঢাকাতেই নয়, ঢাকার বাইরেও তার প্রোগ্রাম আয়োজনের ইচ্ছা আমাদের রয়েছে।’

এটিই প্রথম নয় যে ড. জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তার বাংলাদেশ সফরের একটি জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সে সময় দেশের কতিপয় আলেম ও কয়েকটি ইসলামি সংগঠন তার সফরের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নেয়। তারা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছিল। ফলে তৎকালীন সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সেই সফরটি স্থগিত হয়ে যায়।

বিগত বছরে্র শেষ দিকে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশি ভক্তের প্রশ্নের জবাবে ড. জাকির নায়েক বাংলাদেশ সফরের প্রতি তার গভীর আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "বিশ্বাস করুন, যে দেশগুলোতে আমি সবচেয়ে বেশি যেতে চাই, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। সারা বিশ্বে আমার অনুসারীদের সবচেয়ে বড় অংশই বাংলাদেশি। শুধু আমার ফেসবুক পেইজেই ২ কোটি ৩৯ লক্ষ অনুসারীর মধ্যে ৬০ লক্ষেরও বেশি বাংলাদেশ থেকে।"

তিনি তার পূর্বের দুটি ভিসা প্রাপ্তি সত্ত্বেও সফর বাতিল হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, একবার নব্বইয়ের দশকে শেখ আহমদ দিদাতের সাথে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৩ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তার সফর স্থগিত হয়। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, "ইনশাআল্লাহ, আমি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করব।"

ড. জাকির নায়েক শুধুমাত্র একজন বক্তাই নন, ইসলাম প্রচারে তার অবদানের জন্য বিশ্বে বিভিন্ন স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি ইসলামের খেদমতের জন্য সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ লাভ করেন। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ইসলামি অঙ্গনে আবারও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আয়োজকরা সফলভাবে এই সফর সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশাবাদী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...