বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম ডাই নাই, এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। গুলিবর্ষণের পর বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সীমান্তবর্তী বিতর্কিত এলাকা থেকে শত শত মানুষকে সরিয়ে নেয় কম্বোডিয়া।
মিয়ানচে প্রদেশের উপ-গভর্নর লি সোভান্নারিথ জানান, সীমান্তের প্রে চান গ্রাম থেকে প্রায় ২৫০ পরিবারকে নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, এই সপ্তাহের শুরুতে স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় থাই সেনার একজন গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের আশঙ্কা তৈরি হয়। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নতুন করে স্থলমাইন পুঁতেছে। তবে কম্বোডিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা মার্কিন-মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির বাস্তবায়ন ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত’ রাখবে। একইসঙ্গে তারা কম্বোডিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সীমান্তে পাঁচ দিনের সশস্ত্র সংঘাতে কয়েক ডজন সেনা ও বেসামরিক লোক নিহত হয়। পরে মালয়েশিয়ায় মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলেও সাম্প্রতিক স্থলমাইন বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার এই শত্রুতার ইতিহাস বহু পুরোনো। ফরাসি ঔপনিবেশিক আমলে ১৯০৭ সালে আঁকা মানচিত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সীমান্ত নিয়েই এখনকার বিরোধের সূত্রপাত। থাইল্যান্ড বরাবরই দাবি করে আসছে, ওই মানচিত্রে সীমান্ত ভুলভাবে নির্ধারিত হয়েছে।
১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ১,০০০ বছরের পুরনো প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরসহ সংলগ্ন এলাকার সার্বভৌমত্ব কম্বোডিয়ার হাতে দেয়। এরপর থেকে এই মন্দির ও সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ও সামরিক উত্তেজনা মাঝে মধ্যেই জেঁকে বসে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...