বিজ্ঞাপন
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের মাধবপাশা ও বাবুপুর গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে কালিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—বাবুপুর গ্রামের মৃত কেরামত শেখের ছেলে কামরুল শেখ ও খাইরুল শেখ, জালাল শেখের ছেলে রাতুল শেখ, হাবিবুর শেখের ছেলে সাজিদ শেখ ওরফে সজীব শেখ এবং সাঈদ শেখের ছেলে আকাশ শেখ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত জিল্লুর রহমান সরদারের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল।
গত ১০ জুলাই শুক্রবার কালিয়া উপজেলার শহীদ এখলাস উদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে পাঁচকাহুনিয়া ও বাবুপুর এলাকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও উত্তেজনা থেকে যায়।
এরপর ১১ জুলাই বিকেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাঠিসোটা হাতে ওই মাঠে গেলে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা কুলশুর গ্রামের মজিবুর রহমান সরদারের বাড়ির সামনে থেকে জিল্লুর রহমান সরদারকে ঘিরে ফেলে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা আহত জিল্লুরকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়, পরে সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহতের ভাই আলী হোসেন সরদার বাদী হয়ে কালিয়া থানায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর-৩) দায়ের করেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “স্থানীয় বিরোধ ও ফুটবল খেলার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। নড়াইলের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব কাজী এহসানুল কবীরের দিকনির্দেশনায় জেলা পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে।
-মো. নূরুন্নবী সামদানী, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...