বিজ্ঞাপন
অন্তত দুই ডজন মামলার আসামি এই শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক কাউন্সিলরকে আদালতে আনা হলে বিক্ষুব্ধ যুবকরা পচা ডিম নিক্ষেপ করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সম্ভাব্য অস্থিরতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থান নেয়।
গতকাল রোববার দুপুরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আমিনুলকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত কমরউদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলায় আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তাকে লক্ষ্য করে পচা ডিম ছোড়ে বিক্ষুব্ধরা।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সেলিম, কমরউদ্দিন বাঙ্গি ও আব্দুল মান্নান হত্যা মামলায় আমিনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়। কমরউদ্দিন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া সেলিম ও মান্নান হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত শনিবার রাজধানীর গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলামকে (৫০) গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং শহরের নিশিন্দারার মৃত আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে। একসময় যুবলীগের দাপুটে নেতা আমিনুল বর্তমানে পরিবহন মাফিয়া হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
বগুড়ার ডিবি ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে আদালতে আনা হয়। বাইরে কিছু যুবক হৈচৈ করলেও বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমিনুলের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারপিট, বিস্ফোরক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাসহ ২১টির বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
-মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া